নেত্রকোনার বারহাট্টায় বিয়ের দাওয়াত খাওয়া নিয়ে কনের বাড়ির লোকজনের হামলায় আহত বরের বাবা আবুল খায়ের (৫৮) মারা গেছেন। আজ বুধবার ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বন্দেরবাড়ি গ্রামের একটি চায়ের দোকানে সামনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল খায়ের বন্দেরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে আবুল খায়েরের ছেলে সগীর মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের জুয়েল মিয়ার মেয়ে স্বর্ণা আক্তারের বিয়ে হয়। বর ও কনের পরিবার একে অপরের আত্মীয়। অনুষ্ঠানে ৩৫ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন। কিন্তু কনের বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বরযাত্রীদের যথাযথভাবে আপ্যায়ন না করাসহ খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে।
ওই দিন সন্ধ্যায় বরের বাবা আবুল খায়ের কনের চাচার চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। সেখানে বিয়েবাড়ির খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে কনের চাচাতো ভাই ধন মিয়া, ময়না মিয়া, সোনা মিয়া, পলাশ মিয়াসহ কয়েকজন আবুল খায়েরের ওপর হামলা করেন। তাঁরা রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে কথা বলতে অভিযুক্ত ধন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবুল খায়েরের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তিনিসহ অন্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর ছেলে আলমগীরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।