
উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আবারও প্রমাণ করেছে তাদের শিক্ষাগত মান ও জনসম্পৃক্ততা। ‘বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরামের’ অনলাইন জরিপে প্রথম স্থান পেয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। ২৫ থেকে ২৭ জুন অনলাইনে অভিভাবকদের ভোটের মাধ্যমে পরিচালিত জরিপে ঢাকার স্কুলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯৬টি ভোট পেয়েছে উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এর মাধ্যমে বরাবরের মতো অভিভাবকদের আস্থা ও ভালোবাসায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ঢাকায় ইসলামিক মূল্যবোধভিত্তিক ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি।
উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাদের একাডেমিক শৃঙ্খলা, ইসলামিক মূল্যবোধভিত্তিক নৈতিক শিক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রমের সমন্বিত প্রয়োগ। ব্রিটিশ কারিকুলামভিত্তিক শিক্ষা প্রদানকারী স্কুলটিতে শিশুদের চারিত্রিক গঠন, নৈতিকতা, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতা গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
স্কুলটির অন্যতম মূলশক্তি এর দক্ষ ও আন্তরিক শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের প্রত্যেকে আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শুধু পাঠদানই নয়, বরং প্রতিটি শিশুর মানসিক বিকাশ, ধর্মীয় শিক্ষা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও সচেষ্ট তাঁরা। স্কুলটি নিয়মিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে, যা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক উৎকর্ষ নিশ্চিত করে।
উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ, পরিশীলিত ও প্রযুক্তিনির্ভর ক্যাম্পাস পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। শ্রেণিকক্ষগুলোতে রয়েছে স্মার্টবোর্ড, অনলাইন লার্নিং সাপোর্ট, লাইব্রেরি ও অত্যাধুনিক সায়েন্স ল্যাবের সুবিধা। এ ছাড়া ইসলামিক স্টাডিজ, হিফজ ও আরবি শেখার জন্য রয়েছে আলাদা শিক্ষক এবং নির্ধারিত পাঠপরিকল্পনা।
জরিপে অংশগ্রহণকারী অভিভাবকেরা উইটনের একাডেমিক মান, ধর্মীয় পরিবেশ ও প্রশাসনিক দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এ প্রসঙ্গে একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমার সন্তানের নৈতিক গঠন এবং ইংরেজিতে দক্ষতা যেভাবে গড়ে উঠেছে, তা উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ছাড়া সম্ভব হতো না। আমার সন্তানের জন্য এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত।’
এ অর্জনে উইটন পরিবার উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ জামান বলেন, ‘এই ফলাফল উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের জন্য গৌরবের। এটি উইটনের সব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত পরিশ্রম ও বিশ্বাসের স্বীকৃতি। আমরা বিশ্বাস করি, একটি শিশুর মধ্যে যদি ইসলামি আদর্শ, বিশ্বমানের শিক্ষা এবং নেতৃত্বের গুণাবলি একত্রে বিকাশ লাভ করে, তাহলে সে একজন আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। এটিই উইটনের শিক্ষাদর্শন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের এ যাত্রায় পাশে ছিলেন, এই অনন্য অর্জনে তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমাদের যাত্রা কেবল শুরু, একদিন আমরা বিশ্বের মধ্যে সেরা হব ইনশা আল্লাহ।’
উইটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি আন্দোলন। যা শিশুদের সৎ, দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অভিভাবকদের আস্থায় সেরা হিসেবে প্রমাণিত হওয়া এ প্রতিষ্ঠান ঢাকার ইসলামিক ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।