ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। ২২ সেপ্টেম্বর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। ২২ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী। আজ সোমবার দুপুরে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা শুরু হওয়া চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থান মূলত শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছিল। সেই আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, আহত হয়েছেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল—শিক্ষা ও চাকরিতে শতভাগ মেধাভিত্তিক সুযোগ নিশ্চিত করা। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, এই আন্দোলনের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে অযৌক্তিক পোষ্যকোটা পুনর্বহাল রাখা হয়েছে। এতে শুধু শিক্ষক নয়, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রীদের জন্যও বিশেষ সুযোগ রাখা হয়েছে।

এই বিশেষ সুযোগকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, বৈষম্যমূলক ও চব্বিশের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্যের পরিপন্থী বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা দুটি দাবি তুলে ধরেন। প্রথমত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়া শতভাগ মেধাভিত্তিক করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের ছেলেমেয়ে, স্বামী-স্ত্রীর জন্য চালু করা সব ধরনের পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা ছিল, যা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২ জানুয়ারি বাতিল করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ভর্তি উপকমিটির সভায় ১০টি শর্তে পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনা হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা একটা মীমাংসিত ইস্যু। এটি অন্যায্য ও অযৌক্তিক একটি কোটা। এটিকে নামে-বেনামে ফিরিয়ে আনা চলবে না। এর জেরে ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। পরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোষ্য কোটা স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা এই কোটা বাতিলের পক্ষে অনড় অবস্থান নেন। পরদিন সিন্ডিকেটের সভায় উপাচার্যের নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল রাখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।