
কয়েক মুহূর্তের টর্নেডোয় বাঁশখালীর উপকূলীয় গন্ডামারা ইউনিয়নের সমুদ্রের তীরঘেষা পশ্চিম বড়ঘোনা গ্রামটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে গতকাল সোমবার। সকাল সাড়ে ১০টায় মাত্র ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী এই টর্নেডোয় চার ওয়ার্ডের দেড় শ বাড়িঘর এবং সকাল বাজারের ৭০টি দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। এতে পশ্চিম বড়ঘোনার বাসিন্দা ছেনোয়ারা বেগম এবং হানু বেগম নামে দুজন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায় ওষুধের দোকানের মালিক সানাউল্লাহ তাঁর দোকানের নষ্ট হয়ে যাওয়া ওষুধগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন। কাপড়, প্রসাধনীসামগ্রী ও জুতার দোকানদার সাদেক আহমদ জানান, দোকানের টিনের চাল উড়ে যাওয়ায় কাপড় ও প্রসাধনীসামগ্রীর ক্ষতি হয়েছে। মোবাইলের দোকানদার সিদ্দিকুর রহমান জানান, তাঁর দোকানের প্রায় ১০০ সিম, ৬০টি মোবাইল চার্জার, ৪টি মুঠোফোন সেট নষ্ট হয়ে গেছে।
গন্ডামারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী বলেন, হঠাৎ প্রবল বাতাসে কিছুই বুঝে ওঠার আগেই অনেক কিছু তছনছ হয়ে গেল। বিশেষ করে ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তিনি অর্থ সহায়তা দিয়েছেন।
পশ্চিম বড়ঘোনা এলাকার বাসিন্দা মো. ফোরকান জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় ধূসর বর্ণের একটি গোলাকার বাতাসের ঘূর্ণি তাঁর বাড়ির ওপর দিয়ে বয়ে যায়। এ সময় তীব্র বাতাসের বেগে বাড়ির টিনের চালটি উড়ে গিয়ে পড়ে রাস্তায়।
সকাল বাজার কমিটির আহ্বায়ক এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী হায়দার জানান, এই টর্নেডোতে ওষুধ, চাল, মুদি, কাপড়, সিমেন্ট, রং, মোবাইল, এলপি গ্যাস এবং একটি চায়ের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা তিনি অনুমান করেন।
বাঁশখালী উপজেলা উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা অলিউর রহমান বলেন, উপকূলীয় এলাকায় গাছপালা বেশি থাকলে টর্নেডোটি লোকালয়ে প্রবেশের আগেই দুর্বল হয়ে যেত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী বলেন, তিনি এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সরকারিভাবে তাঁদের সাহায্য করা হবে।