
দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে কালবৈশাখীও বইতে শুরু করেছে। আর শুক্রবার ঢাকায় হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস রোববার পর্যন্ত চলতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শনিবার সারা দেশে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হতে পারে। ফলে ২ এপ্রিল থেকে যে দাবদাহ বইছিল, তা চলে যেতে পারে। তবে শুক্রবার খুলনা, বরিশাল, ঢাকাসহ দেশের অর্ধেকের বেশি স্থানে দাবদাহ থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি ও মেঘ বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার থেকে তাপমাত্রা আরও কমে শনিবার থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি নামতে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তিন দিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আর্দ্রতার পরিমাণও বাড়তে শুরু করেছে। এতে গরমের অনুভূতি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় গরমের অনুভূতি ছিল বেশি। সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে সন্ধ্যার পর কালবৈশাখী হয়েছে। তবে দিনের বেলা গরমের তীব্রতা ভালোই ছিল।
সিলেটে বুধবার মৃদু কালবৈশাখী হয়েছে, বৃষ্টি হয়েছে ১৬ মিলিমিটার। সিলেটে বৃষ্টির সঙ্গে শিলা পড়েছে। রাত সাড়ে ৯টায় ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। নেত্রকোনায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে এদিন তীব্র দাবদাহ বয়ে গেছে। আর দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে গেছে। শুক্রবারও মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীর আকাশে কিছু মেঘের আনাগোনা দেখা গেলেও বেলা গড়াতে তা কমে যায়। মেঘ সরে গিয়ে রোদের তীব্রতা বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার পর বেড়ে যায় গরমের দাপট। ভোর থেকে যে হালকা শীতল বাতাস বইতে শুরু করেছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা লু হাওয়ায় পরিণত হয়। ফলে সপ্তাহের শেষ দিন যাঁরা নানা কাজে বাইরে বের হয়েছিলেন, তাঁদের কষ্ট বেড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও পল্টন এলাকায় যানজট দেখা দেয়। এতে যানবাহনে বসে গরমে প্রায় সেদ্ধ হওয়ার অবস্থা হয় মানুষের।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, ১ নম্বর, রোকেয়া সরণিসহ বিভিন্ন স্থানে সিটি করপোরেশনের গাড়ি থেকে রাস্তায় পানি ছিটাতে দেখা গেছে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ও তাপমাত্রা কমাতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।