
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রংপুরে শহীদ হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পরিবর্তনের জন্য চিকিৎসককে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।
এ ছাড়া ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাজিবুল ইসলামকে এ জন্য চাপ দেওয়া ও মামলার ভয়ভীতি দেখানো হয়েছিল।
আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১-এ এমন জবানবন্দি দিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজিবুল ইসলাম। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় ১৮তম সাক্ষী হিসেবে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে রাজিবুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ৩০ জুলাই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মাহফুজুর রহমানের কক্ষে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে মাহফুজুর রহমানসহ সিটি এসবির পুলিশ সুপার সিদ্দিক, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মারুফ, স্বাচিপের রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি চন্দন উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা বাইরে অবস্থান করছিলেন। তাঁরা তাঁদের ইচ্ছেমতো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তাঁদের ইচ্ছেমতো প্রতিবেদন না দিলে ব্যবস্থা নেওয়াসহ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার ভয়ভীতি দেখান।
বুলেটের আঘাতের পরিবর্তে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে তাঁকে উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক।
রাজিবুল ইসলাম আরও বলেন, উপাধ্যক্ষের কক্ষে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদন আছে। তাই তাঁদের ইচ্ছেমতো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে তাঁকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের প্রলোভন দেখানো হয়। তাঁর পাসপোর্ট নেই জানালে দুই সপ্তাহের জন্য তাঁকে কক্সবাজার ঘুরে আসতে বলা হয়।