
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট আজ সোমবার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চের কার্যতালিকা থেকে (ডিলিট) বাদের পর অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে।
শুনানির জন্য বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আগামীকাল মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় রিটটি আসবে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী। এর আগে আজ সোমবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে ডিলিট (বাদ) করে দেন।
লাল চাঁদকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচারিক কমিশন গঠন ও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গতকাল রোববার রিটটি করেছিলেন। রিটটি আজ শুনানির জন্য বিচারপতি কাজী জিনাত হকের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১২৫ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
এই বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী প্রথম আলোকে বলেন, রিটে যা চাওয়া হয়েছে, তা চলমান প্রক্রিয়া। আদালত শুনে রিটটি তালিকা থেকে ডিলিট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করে দিয়েছেন।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মধ্যাহ্নবিরতির আগে রিট শুনে আদালত বলেন, প্রক্রিয়া তো চলমান। বিষয়টি ডিলিট করে দেন। বেলা দুইটার পর বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করা হয়। এই বেঞ্চের মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় রিটটি শুনানির জন্য আসবে।’
গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে, ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয়। তাঁর শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ।
লাল চাঁদ হত্যার ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় বৃহস্পতিবার একটি মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। এতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১৫-২০ জনকে। এ ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত সাত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন।