অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুই সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ও সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার কমিশনের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দুদক জানায়, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) মাকসুদুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী হাসনাতুল হাসনার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা অনুমোদন করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দায়িত্ব পালনের সময় সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাকসুদুল অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ প্রায় ৬৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মাকসুদুল হাসানের স্ত্রী হাসনাতুল হাসনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি স্বামীর অবৈধভাবে অর্জিত ৭৬ লাখ ৭ হাজার টাকার সম্পদ নিজের নামে ভোগদখলে রেখে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন ও অর্জনে সহায়তা করেছেন। এ মামলার আসামির তালিকায় মাকসুদুল হাসানের নামও রয়েছে। এ দুটি মামলা দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ দায়ের করবেন।
এ ছাড়া সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়ার (জীবন) বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক। তিনি ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ পদে ছিলেন। পরে কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
দুদকের তথ্যমতে, রাশেদুল কাওসার ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার বেশি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর বিপরীতে তাঁর বৈধ আয় মাত্র ৮৩ লাখ টাকার মতো।
ফলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাশেদুল কাওসার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন। তাঁর স্ত্রী লুৎফুন নাহারের নামে–বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও ব্যাংক লেনদেনের তথ্যও দুদকের হাতে এসেছে। এসব অর্থ অন্য কোনো মাধ্যমে বিনিয়োগ, হস্তান্তর বা রূপান্তর করা হয়েছে কি না, তা যাচাইয়ের জন্য তাঁকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।