
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকায় নোয়াখালী–৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী ও তাঁর পরিবারের নামে থাকা দুটি হোটেল–জমিসহ পাঁচতলা মার্কেট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. সাব্বির ফয়েজ আজ রোববার এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ আলীর পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন তাঁর স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস, ছেলে আশিক আলী, মাহতাব আলী ও মেয়ে সুমাইয়া আলী ঈশিতা।
একই সঙ্গে মাহতাব আলীর নামে থাকা একটি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের উপপরিচালক মো. সিফাত উদ্দিন আবেদনগুলো করেন। আবেদনে বলা হয়, অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁরা স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হতে পারে। এ জন্য মানি লন্ডারিং আইনে তাঁদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তি অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।