সাভার–ভাটারা পথে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন পেছাচ্ছে

সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গত ২৩ মে জাপানি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টোই এবং বাংলাদেশের স্পেকট্রামের (যৌথ) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়  
ফাইল ছবি

১৬ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলের লাইন-৫–এর (নর্দান রুট) নির্মাণকাজের উদ্বোধন হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যস্ততার কারণে ওই দিন সময় দিতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর সময় সাপেক্ষে উদ্বোধনের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এমআরটি লাইন-৫–এর প্রকল্প পরিচালক আফতাব হোসেন খান। তিনি জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য নতুন করে সময়সূচি ঠিক করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

মেট্রোরেলের এই পথ সাভারের হেমায়েতপুর থেকে গাবতলী, মিরপুর, গুলশান হয়ে ভাটারা যাবে। এর আগে গত ২০ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন ও চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-৫ (নর্দান রুট) ছিল।

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে ছয়টি মেট্রোরেল পথ নির্মাণ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল আগামী ২০ অক্টোবর চালু হবে। কমলাপুর থেকে নর্দ্দা হয়ে পূর্বাচল পর্যন্ত আরেকটি মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয় লাইনের কাজ শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে।

সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৫–এর (নর্দান রুট) দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশ পাতালপথে (আন্ডারগ্রাউন্ড) আর সাড়ে ৬ কিলোমিটার অংশ নির্মাণ করা হবে উড়ালপথে। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য যে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছে সরকার, তাতে এই মেট্রোর কাজ শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২০২৮ সালে। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।