সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি
সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। আজ সোমবার তাঁকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কার্যালয়ে ডাকা হয়।

পিবিআই সূত্র জানায়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্স আজ সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএফইউজের (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে রাজধানীর পিবিআই কার্যালয়ে ডাকে। সেখানে দুই-আড়াই ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা।

আজ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআইয়ের প্রধান মো. মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর অনেক কথা বলেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন। সেই ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন। প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র‍্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর র‍্যাবের হাত থেকে পিবিআই ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়।

এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সকে এই হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

টাস্কফোর্সে পিবিআইয়ের প্রধান ছাড়া অন্য তিন সদস্য হলেন পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ থেকে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন করে দুজন এবং র‍্যাব থেকে পরিচালক পদমর্যাদার একজন।