হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

তেওতা জমিদারবাড়ি সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ, জানাতে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদারবাড়ির ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন।

‘রুইনস দ্যাট হুইসপার লাভ অ্যান্ড লিগেসি’ শিরোনামে গত ১৯ জুলাই ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে কাজী নজরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী প্রমীলা দেবীর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক ওই জমিদারবাড়ি রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাহিদ আহমেদ হিরো ৪ আগস্ট রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।

জনশ্রুতি আছে, মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার এই জমিদারবাড়িতে বসেই ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ’ গানটি লিখেছিলেন নজরুল। জমিদারবাড়িটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রমীলা দেবীর স্মৃতিবিজড়িত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। শিবালয় উপজেলা প্রশাসনের স্থাপন করা তথ্য বোর্ডেও নজরুলের সঙ্গে জমিদারবাড়ির সম্পর্কের বিষয়টি দেখা যায়। ইতিহাসবিদদের মতে, পঞ্চানন সেন নামের একজন জমিদারবাড়িটি নির্মাণ করেন। প্রাসাদের মূল ভবনটি লালদিঘি ভবন নামে পরিচিত।

সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঐতিহাসিক ওই জমিদারবাড়ি ও স্থাপনা সংরক্ষণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না থাকায় রিটটি করেন বলে জানান আবেদনকারী আইনজীবী জাহিদ আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঐতিহাসিক ওই জমিদারবাড়ির স্থাপনা রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটিসহ সার্বিক বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য হিসেবে ৩০০ বছরের পুরোনো তেওতা জমিদারবাড়ি ১৯৬৮ সালের প্রত্নতত্ত্ব আইনের ১২(গ) ধারা অনুসারে সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সংস্কৃতিসচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।