
দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশ থেকে ১০টি ট্রাকে করে ৫০ টন ইলিশের প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোলে পৌঁছেছে। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যান্ড স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী এ কথা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার এই মৌসুমে ইলিশের প্রথম চালানটি পেট্রাপোল সীমান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (বাণিজ্য) সাবরিন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সরকার এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই কলকাতা ও পাশের জেলার বাজারগুলোতে বাংলাদেশের ইলিশ পাওয়া যাবে বলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শর্ত অনুযায়ী ৫ অক্টোবরের মধ্যে অনুমোদিত পরিমাণের পুরো ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ আমদানি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, কয়েক বছর ধরে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ সরকার এত কম সময় ধার্য করছে যে অনুমোদন পাওয়া ইলিশ পুরোপুরি আমদানি করা সম্ভব হয়নি।
আনোয়ার মাকসুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ বছরও এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরো ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ আমদানি করা কিছুতেই সম্ভব হবে না। ইলিশ রপ্তানির কম দিন ধার্য করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে হাহুতাশ থেকে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ১২ ডলার মূল্যে ইলিশ পাঠাচ্ছে। তবে বিক্রেতাদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের খুচরা বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের দাম পড়বে দুই হাজার রুপির ওপরে। ফলে মধ্যবিত্ত বাঙালির ‘ইলিশ বিলাসিতা’ মেটার আশা কম।