
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালানোর পাশাপাশি নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে দুই দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর তাঁরা বেলা সাড়ে তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আগামী রোববার পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং দুপুর ১২টার মধ্যে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে নীতিমালা অনুমোদন না করা হলে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচিতে উপাচার্য ভবনের সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
শিক্ষার্থীদের দাবি দুটি হলো সম্পূরক বৃত্তি কবে থেকে কার্যকর হবে তা নিশ্চিত করা এবং জকসুর নীতিমালা অনুমোদন, তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথরেখা) প্রকাশ করা।
সংবাদ সম্মেলনে অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা শিক্ষার্থীরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হল নেই। তাই প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে গত মে মাসে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেখানে সরকার দাবি মেনে নিয়ে তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাজেট অনুমোদিত হলেও সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এই প্রশাসন এতটাই অদক্ষ যে এখন পর্যন্ত জকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি। অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের এ গড়িমসির কারণে শিক্ষার্থীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজিল বলেন, ‘যমুনায় আন্দোলনের সময় প্রশাসন বলেছিল, আমাদের সম্পূরক বৃত্তি দেবে। অথচ ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) থেকে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা একটি নির্দিষ্ট সময় দেব। এর মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’
অবস্থান কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ, ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশের নেতা–কর্মীরা।