শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়
শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়

শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ চেয়ে দুদকের চিঠি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে এই চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার তদন্তকালে জানা গেছে, এজাহারভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বিদেশে অবস্থান করছেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিজ্ঞ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালতের সেই পরোয়ানা, এজাহার, অভিযোগপত্র এবং পূরণ করা রেড নোটিশ ফরম সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই ধরনের তথ্য-উপাত্তসহ সজীব ওয়াজেদের বিষয়ে আলাদা চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে মা–ছেলের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বাবা-মায়ের নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও ঠিকানা দেওয়া হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরাও বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর এ বছরের ১২ জানুয়ারি ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের অভিযোগে ছয়টি মামলা করে সংস্থাটি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে। এই ছয় মামলার সব কটিতেই আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। অন্যদেরও কেউ কেউ একাধিক মামলার আসামি।

দুদকের অভিযোগ, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার অযোগ্য হয়েও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। এসব মামলায় গত ৩১ জুলাই ঢাকার দুই বিশেষ জজ আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।