নারী ও শিশু নির্যাতন
নারী ও শিশু নির্যাতন

জুলাই শহীদের মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় দুই সংগঠনের বিবৃতি

নারী ও কন্যাশিশুরা কোথাও নিরাপদ নয়

সম্প্রতি নারী ও কন্যাশিশুর ওপর সহিংসতা ও ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখজনক হারে বাড়ছে। ঘরে–বাইরে কোথাও তারা নিরাপদ নয়। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ।

জুলাই আন্দোলনের এক শহীদের কলেজশিক্ষার্থী মেয়ের (১৭) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া ও ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে আজ রোববার এই বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

একই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার অভাব ও নারীদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে নারীপক্ষ। তাদের বিবৃতিতে এই কলেজছাত্রীর মৃত্যুর পেছনে ধর্ষণের শিকার নারীর প্রতি সমাজের অসংবেদনশীল আচরণ, অসাধু প্রভাব–প্রতিপত্তি, দুর্নীতি ও কাউন্সেলিং সেবা না থাকাকে দায়ী করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে ভুক্তভোগী কলেজশিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় পটুয়াখালীতে বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়ে।

নারী ও কন্যাশিশুদের ওপর সহিংসতা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, এসব ঘটনা নারীদের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে। এমন পরিস্থিতি নারীর অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধকতার কারণ।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ যথাযথ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও তার পরবর্তী লাঞ্ছনাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

ধর্ষণের শিকার নারীর রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও মানসিক সহায়তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে নারীপক্ষ বলেছে, ভুক্তভোগী নারীর প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।