নেস্টের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন সমাধান দেওয়া, যা অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখবে
নেস্টের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন সমাধান দেওয়া, যা অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখবে

নেস্টের দুই বছরের যাত্রা: প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও আবাসনের দিগন্ত সম্প্রসারণ

বাংলাদেশের আবাসনশিল্পে সম্ভাবনাময় একটি নাম নেস্ট ডেভেলপমেন্টস। যাত্রার মাত্র দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে প্রথম প্রকল্প ‘অরোরা’। এ ছাড়া রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শুরু করেছে আরও ১৩টি প্রকল্প।

সময়মতো প্রকল্পের কাজ শেষ করা, আধুনিক নকশা ও মানের ক্ষেত্রে আপসহীন অঙ্গীকার থাকায় শুরু থেকেই আলাদা হয়ে উঠেছে নেস্ট। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় প্রতিবছর নগরায়ণের হার প্রায় ৩ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে ১ হাজার ৬০০ বর্গফুটের নিচে মাঝারি আকারের ফ্ল্যাটের চাহিদা বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নেস্ট ডেভেলপমেন্টস তাদের যাত্রা শুরু করে। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছে।

অরোরা: নেস্টের প্রথম মাইলফলক

নেস্ট ডেভেলপমেন্টসের পথচলা শুরু হয় ‘অরোরা’ দিয়ে। পাঁচ কাঠা জমিতে নির্মিত দক্ষিণমুখী ১০টি অ্যাপার্টমেন্টের এই প্রকল্প সময়মতো হস্তান্তর করা হয়েছে। যেখানে এমন প্রকল্প সাধারণত ৩৫ মাস বা তারও বেশি সময় লাগে, সেখানে মাত্র ২২ মাসে কাজ শেষ হয় হস্তান্তরিত প্রকল্পের। নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তরের মাধ্যমে নেস্ট প্রমাণ করেছে নিজেদের দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি। প্রথম দফার গৃহমালিকদের কাছে ‘অরোরা’ কেবল একটি ভবন নয়; বরং আস্থার প্রতিফলন ও নেস্ট ব্র্যান্ডের প্রতি বিশ্বাসের ভিত্তি।

বিস্তৃত পদচারণ: দুই বছরে ১৩টি প্রকল্প

অরোরা শেষ করার পর নেস্ট দ্রুতই বসুন্ধরার বিভিন্ন ব্লকে বিস্তার ঘটায়। বর্তমানে এম, এন ও এল ব্লকে প্রতিষ্ঠানটির ১৩টি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে রয়েছে ফ্লোরেন্স, কায়রো, অরিক, ফিওরা, অরেলিয়া, এম্বার, নভেলা, নির্ভানা ও আটলান্টা। প্রতিটি প্রকল্পেই থাকছে নেস্টের স্বকীয়তা—কার্যকর নকশা, আধুনিক স্থাপত্য ও দীর্ঘ মেয়াদে মূল্য ধরে রাখার নিশ্চয়তা।

১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এসব অ্যাপার্টমেন্ট ছোট পরিবার থেকে শুরু করে বড় ফ্ল্যাটপ্রত্যাশী সবার প্রয়োজন মেটাচ্ছে।

আস্থা ও স্বচ্ছতার মডেল

নেস্টের সাফল্যের অন্যতম মূল কারণ তাদের ‘ইন্টিগ্রেটেড ওনারশিপ মডেল’। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব জমিতে প্রকল্প নির্মাণ করে, ফলে কোনো আইনি জটিলতা থাকে না এবং সময়মতো কাজ সম্পন্ন হয়। এতে বিনিয়োগ নিরাপদ ও নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর হওয়ার ব্যাপারে ক্রেতারা নিশ্চিত থাকেন।

একই সঙ্গে নেস্ট বিশ্বাস করে গ্রাহককেন্দ্রিক সেবা। খোলামেলা পরিবেশ, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দৃঢ়তা ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় যত্নশীল প্রতিষ্ঠানটির কাজের নীতি। নেস্টের মূলমন্ত্র হলো ‘আপনার চাহিদা আমাদের অনুপ্রেরণা’। আর সেই অনুপ্রেরণাতেই তারা গড়ে তোলে এমন একটি আবাসন, যা হবে আপনার গর্ব।

লক্ষ্য ও আগামী দিনের পথচলা

নেস্টের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন সমাধান দেওয়া, যা অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টে অবদান রাখবে। আর প্রতিষ্ঠানটির ভিশন—সাসটেইনেবল কমিউনিটি, সাশ্রয়ী হাউজিং ও উদ্ভাবনী বিনিয়োগ সুযোগের মাধ্যমে বাজারে নেতৃত্ব দেওয়া।

আগামী দিনে বসুন্ধরার বাইরেও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে নেস্টের। এরই মধ্যে উত্তরাকে পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে রেখে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে নতুন নতুন কমিউনিটিকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তারা বজায় রাখবে নকশা, সময়মতো হস্তান্তর ও মানের প্রতি প্রতিশ্রুতি।

দুই বছর, দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি

মাত্র দুই বছরে নেস্ট ডেভেলপমেন্টস আস্থাশীল ডেভেলপার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। সময়মতো কাজ শেষ করা, আধুনিক স্থাপত্য আর সততার জন্য তারা এরই মধ্যে ক্রেতাদের মধ্যে বিশ্বস্ত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

প্রথম প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়েছিল ‘অরোরা’র মাধ্যমে। এটি বাংলাদেশের আবাসনশিল্পে একটি ভিন্নধর্মী মানদণ্ড তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, আসছে বছরগুলোয় নেস্টের লক্ষ্য থাকবে একটাই—প্রতিটি প্রকল্প শুধু তৈরি নয়, সময়মতো ও আনন্দের সঙ্গে হস্তান্তর করা।