Thank you for trying Sticky AMP!!

মামুনুল হকসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সময় বেঁধে দিল হেফাজত

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন, রমনা, ঢাকা, ২৫ অক্টোবর

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বলেছে, সংগঠনের কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। একই সময়ের মধ্যে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবে।

আজ বুধবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম এ ঘোষণা দিয়েছে।

হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত এ সম্মেলন সকাল ৯টায় শুরু হয়, শেষ হয় বেলা দেড়টায়। সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, সংগঠনের কারাবন্দী সব নেতা-কর্মীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে।

সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে থাকা সব মিথ্যা মামলা এ সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।

সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে মিথ্যা-সাজানো মামলায় কারাগারে বন্দী আছেন মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মুফতি মাহমুদ গুনবী, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ অনেক আলেম। তাঁদের অন্যায়ভাবে সরকার কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। জামিন পাওয়ার পরও তাঁরা কারামুক্তি পাচ্ছেন না। নতুন মামলা দিয়ে তাঁদের আটকে রাখা হচ্ছে। কারাবন্দী এই আলেমদের মুক্তির বিষয়টি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। আলেমদের মুক্তি, হয়রানি বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।

হেফাজতে ইসলামের আমিরের লিখিত বক্তব্য পাঠের পর শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, সরকার গদি রক্ষা করতে চাইলে আলেমদের মুক্তি দিতে হবে।

সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্বেচ্ছা কারাবরণের কর্মসূচি দিলে সরকার আলেমদের মুক্তি দিতে বাধ্য হবে।

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর খুরশীদ আলম কাসেমী বলেন, কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দিলে ভালো হবে। তা না হলে সরকারের বিপদ বাড়বে।

সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিবী বলেন, নেতা-কর্মীদের মুক্তি না দিলে দেশ অচল করা হবে। মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।