পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের’ সমাবেশ। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে
পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের’ সমাবেশ। আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে

পবিত্র কোরআন ‘অবমাননার’ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি তাহাফফুজে খতমে নবুওয়তের

পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন। একই সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ–গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে রাজধানীর মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সংগঠনটির ঢাকা মহানগর (বৃহত্তর মিরপুর জোন) এই সমাবেশের আয়োজন করে। মুফতি মাহমুদুল হাসান আশরাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মুফতি আবুল কালাম কাসেমী।

এ ছাড়া মুফতি ইব্রাহীম খলিল কাউসারীর সঞ্চালনায় সমাবেশে মুফতি হোসাইন আহমদ কাসেমী, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি ইয়ামিন হোসাইন আজমী, মুফতি হিফজুর রহমান, মুফতি নজরুল ইসলাম, মুফতি আব্দুল্লাহ নাটোরী, মুফতি মোস্তফা আশরাফী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি আব্দুল হামিদ গওহারী, মুফতি নূরুল করিম ইউনুসী, মুফতি আহসান হাবীব ও মুফতি হাবিবুর রহমান বক্তব্য দেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি মিরপুর-২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।

অপূর্ব পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের পরিচয় বহনকারী দেশ। এখানে আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও কোরআন-সুন্নাহ সম্পর্কে অবমাননা বা কটাক্ষের কোনো স্থান নেই। যারা এ ধরনের অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাচ-গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অবিলম্বে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এ সিদ্ধান্ত দেশের ইসলামপ্রেমী তৌহিদী জনতার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। ধর্মীয় শিক্ষার মর্যাদা রক্ষা ও ইসলামি চেতনায় প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে সরকারের নীতিতে অবিলম্বে সংশোধন আনতে হবে।