ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানান ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্যপদের প্রার্থী মো. সজীব হোসাইন (ডানে)। আজ বুধবার সকালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ জানান ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্যপদের প্রার্থী মো. সজীব হোসাইন (ডানে)। আজ বুধবার সকালে

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

হলে ভোট দিয়েছেন এলাকার বড় ভাইকে, তিনি কোনো ভোটই পাননি

ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্যপদে প্রার্থী হয়েছিলেন মো. সজীব হোসাইন। তিনি শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী। আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ভোট দেন নিজ এলাকার বড় ভাই মো. সম্রাট ইসলামকে। সজীবের অভিযোগ, সেই হল থেকে এই জিএস প্রার্থী কোনো ভোট পাননি। সজীবের প্রশ্ন, ‘তাহলে আমার ভোট কোথায় গেল?’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন তোলেন সজীব। তিনি জানান, নিজে কোনো দলকে সমর্থন করেননি। তিনি তিন পদে বিভিন্ন প্যানেলের তিনজনকে ভোট দিয়েছেন। গত রাতে তিনি শুনেছেন যে জিএস পদে যাঁকে ভোট দিয়েছেন, তিনি সেই হলে কোনো ভোট পাননি। আজ তিনি নিশ্চিত হয়ে এর জবাব চাচ্ছেন।

সজীব বলেন, ‘আমার অভিযোগ, ব্যালট যদি বাতিল হয়, সেটা উল্লেখ করতে হবে কেন হলো। আমি জানি, কীভাবে ভোট দিতে হয়। তাতে মনে হয় না যে ব্যালট বাতিল হবে। যদি তা হয়, সেটা উপস্থাপন করতে হবে। নয়তো যে অভিযোগগুলো আসছে, সেগুলোর সত্যতা প্রমাণ হবে আমার এটার মাধ্যমে। সব হলে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে আমার ভোট কোথায় গেল।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সজীব বলেন, ‘তারা যদি বলে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে, মানতে রাজি, যদি আমার ব্যালট দেখায়।’

ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছেন রাকিব হোসেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন শুরু থেকেই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে।

ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল অনুসারে সজীব ৮২৭ ভোট পেয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সম্রাট ইসলাম ২৪ ভোট পেয়েছেন এবং রাকিব হোসেন ৫৬৯ ভোট পেয়েছেন।