মেরিল সাবানের কথা
১৯৯৯ সাল থেকে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ভোক্তার চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাবান বাজারজাত করছে এবং ক্রমাগত উদ্ভাবন ও মানোন্নয়নের মাধ্যমে ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে। মেরিল সাবানের প্রধান ভেরিয়েন্ট মিল্ক সোপ বারের দুধ, দুধ ও কিউই এবং দুধ ও বেলি প্রতিটি ধরনই দুধের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এর বিশেষ ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য ত্বককে রাখে কোমল ও মসৃণ, আর দুধের পুষ্টি ত্বককে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
ভোক্তাদের চাহিদা শুধু ময়েশ্চারেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁরা এমন একটি সাবান চান, যা ত্বককে আর্দ্র রাখার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা ও সজীবতাও দেবে। ভিটামিন সি সেই প্রয়োজনীয় উপাদান। মেরিল বাজারে এনেছে ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ দুটি সাবান—ট্যানজেরিন অরেঞ্জ এবং লেমন ও লাইম।
মেরিলের প্রতিটি সাবান প্রস্তুত করা হয় মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা প্রিমিয়াম মানের সাবান নুডলস এবং বিশ্বমানের সুগন্ধি দিয়ে, যা ভোক্তাদের রুচি ও পছন্দের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। মেরিল শুধু ভোক্তার ত্বকের প্রতি নয়, প্রকৃতির প্রতিও সমানভাবে দায়বদ্ধ। প্রতিটি সাবান তৈরি হয় প্রায় ৯৫ শতাংশ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এবং এর প্যাকেজিং বায়োডিগ্রেডেবল ও পরিবেশবান্ধব।
২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মেরিল সাবানের বাজারে অংশীদারত্ব ২৭ থেকে প্রায় ৪২ শতাংশে বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, উদ্ভাবন, মানোন্নয়ন ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে আজ মেরিল শুধু একটি সাবানের ব্র্যান্ড নয়; বরং বাংলাদেশে ভোক্তাদের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড
কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির (বাংলাদেশ) লিমিটেড (কেসিসিএল) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ব্র্যান্ড) মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার বলেন, কোহিনূর কেমিক্যালের যাত্রা শুরু হয় স্বাধীনতা-পূর্ব যুগে ১৯৫৬ সালে একজন পাকিস্তানি উদ্যোক্তার হাত ধরে। ওই বছরই তিব্বত স্নোর উৎপাদন শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিব্বত পমেড, তিব্বত ৫৭০ লন্ড্রি সোপ, তিব্বত বল সাবান ও তিব্বত কদুর তেল, তিব্বত ঘামাচি পাউডারের মতো জনপ্রিয় পণ্য তৈরি হতে শুরু করে। ১৯৭৬ সালে এর পরিচালনার দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। তবে কোম্পানির আধুনিক ও সফল যাত্রার সূচনা ঘটে ১৯৯৩ সালে, যখন বর্তমান কার্যকরী পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে। কোহিনূর কেমিক্যাল থেকে সর্বদা বিশ্বমানের ও আকর্ষণীয় পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এর এখন ব্র্যান্ডের সংখ্যা ১৩টি ও পণ্যের সংখ্যা ৭৬টি।
কোহিনূরের স্যান্ডালিনা সোপ বাংলাদেশের বাজারে একটি বিশাল স্থান দখল করে আছে। অন্যান্য জনপ্রিয় সাবান ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে তিব্বত লাক্সারি সোপ, ব্যাকট্রল ফ্যামিলি হেলথ সোপ, তিব্বত ৫৭০ সোপ, তিব্বত বল সোপ এবং তিব্বত লন্ড্রি সোপ।
যে সাবান সারা বিশ্বে জনপ্রিয়
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও বিক্রীত লাক্স সাবানের যাত্রা শুরু হয় প্রায় ১০০ বছর আগে। ১৯২৩ সালের শুরুর দিকে লিভার ব্রাদার্স সুগন্ধযুক্ত কিন্তু সাশ্রয়ী মূল্যের টয়লেট সাবান তৈরির কাজ শুরু করে। ১৯২৩ সালে তখনকার যুক্তরাষ্ট্রে লাক্স সাবান চালু করে তারা। সাদা রঙের সাবানকে প্যাস্টেল রঙের প্যাকেটে বাজারে ছাড়া হয়। ১৯২৬ সালে লাক্স সাবান নিয়ে প্রথম প্রচারণা শুরু হয়।
সাবান বারের প্রথম সংস্করণ যুক্তরাষ্ট্রে ১০ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল। তখন বিজ্ঞাপনে সাবান মুখ, হাত ও গোসলের জন্য উপযুক্ত বলা হয়। ১৯৫০–এর দশকে লাক্সের বিজ্ঞাপনে মেরিলিন মনরো, এলিজাবেথ টেলর, অড্রে হেপবার্ন থেকে শুরু করে পরবর্তীকালে সারা জেসিকা পার্কার, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, শু কি, আলিয়া ভাটসহ অনেক তারকাকে দেখা যায়।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৪ সালে লাক্স সাবান যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশের ইউনিলিভার কালুরঘাট ফ্যাক্টরি (কেজিএফ) বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিলিভারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদনকেন্দ্র। ১৯৮০ সালে সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলাদেশে প্রথম চলচ্চিত্র তারকার বাইরের অভিনেত্রী হিসেবে লাক্সের বিজ্ঞাপন করেন। লাক্স সাবানের বিজ্ঞাপনে বিপাশা হায়াত, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, অপি করিমসহ বহু তারকাকে দেখা গেছে। সারা বিশ্বে প্রতিদিন ৩৮ লাখ লাক্স সাবান বিক্রি হয়।
সতেজ ত্বকের জন্য ভিটাকেয়ার
সতেজ ত্বকের জন্য ‘ট্রিপল কেয়ার’ নিয়ে বাজারে এসেছে ভিটাকেয়ার সাবান। এক্সফোলিয়েশন, গভীর ময়েশ্চারাইজিং এবং টিএফএম–সমৃদ্ধ ভিটাকেয়ার সাবান ত্বককে করে তোলে সজীব, কোমল ও উজ্জ্বল। ভিটাকেয়ার সাবানে রয়েছে ৮০ শতাংশ টিএফএম (টোটাল ফ্যাটি ম্যাটার)। পাশাপাশি এর শক্তিশালী এক্সফোলিয়েশন ত্বকের মৃত কোষ ও মলিনতা দূর করে ত্বককে করে তোলে সজীব্বর্যান ও প্রাণবন্ত। আর গভীর ময়েশ্চারাইজিং ত্বককে দীর্ঘ সময় ধরে রাখে আর্দ্র ও কোমল।
উজ্জ্বল, কোমল ও সজীব—এই ‘ট্রিপল অ্যাকশন’ ভিটাকেয়ার সাবানকে করেছে অনন্য।
’৯৭ সাল থেকে আছে কেয়া
১৯৯৭ সালে গাজীপুরে কারখানা করে কেয়া সাবান তৈরি শুরু হয়। বাজারে এখন সবুজ, সাদা ও গোলাপি রঙের কেয়া বিউটি সোপ আছে। আরও আছে হলুদ রঙের কেয়া সুপার লেমন সোপ, যা এরই মধ্যে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেছে।
কিউট সাবান
ক্রমবর্ধমান চাহিদা ও গুণগত মান নিশ্চিত করে, ২০১২ সালে কিউট সাবান উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করে। বর্তমানে কিউট উৎপাদন করছে কিউট লেমন সোপ, কিউট নিম সোপ, কিউট রোজ সোপ ও কিউট জেসমিন সোপসহ চার ধরনের গ্রেড-১ সাবান।