
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, ঈদযাত্রায় ১২ দিনে বিভিন্ন পরিবহনে প্রায় ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আদায় হচ্ছে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিংয়ে। সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবায়ন নেই।
আজ বুধবার রাজধানীর ডিআরইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথাগুলো জানান সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক বলেন, এবার ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহনে ২২ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার ট্রিপে মানুষের যাতায়াত হবে। এসব ট্রিপে মানুষ থেকে এই ভাড়া আদায় হচ্ছে। দেশের ৯৮ শতাংশ যানেই এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সরকার থেকে এসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায় না।
মোজাম্মেল হক বলেন, সরকার ঈদের ছুটিতে বাস বা ট্রেনের ছাদে চড়ে অথবা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করতে বলে থাকে। কিন্তু পরিবহনে ভাড়ার ক্ষেত্রে ধনী–গরিব সবার জন্য একই ভাড়া দিতে হয়। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা এই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এ ছাড়া বাসের ভাড়া নির্ধারণে যাত্রীদের কোনো প্রতিনিধি নেই।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, এবার নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হবে ৮০ কোটি টাকা, রাজধানীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৬০ কোটি, বিভিন্ন ধরনের রিকশায় ১৬০ কোটি এবং প্রাইভেট কার, জিপ ও মাইক্রোবাসে ২১ কোটি, সদরঘাটে বিভিন্ন পারাপারে ১০০ কোটি, হিউম্যান হলারে ১৬ কোটি, বাস-মিনিবাসে ৯০ কোটি, ঢাকায় চলাচলকারী বাসে ১২ কোটি, ট্রেনের ছাদে ৮০ লাখ, রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলে ২৫০ কোটি, রেলে টিকিটবিহীন যাত্রী থেকে ৭ কোটি ৫০ লাখ এবং বিমানে ৩৫ কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কিছু সুপারিশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গণপরিবহনে ডিজিটাল ভাড়া আদায় চালু করা, নগদ টাকার লেনদেন বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামরা পদ্ধতিতে প্রসিকিউশন চালু করা, আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা।