হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ

সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রীর ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি হাছান মাহমুদকে। তিনি দেশে নেই—এমন গুঞ্জন ছিল। এর মধ্যে গত এপ্রিলে ঈদুল ফিতরে লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে দেখা গেছে তাঁকে। লন্ডনের গ্যাংসহিল এলাকার আল-কালাম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন তিনি।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ৯টি ব্যাংক হিসাব এবং তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমার ১২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করে দুদক। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

গত ১৬ জানুয়ারি হাছান মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাঁদের ছয়টি কোম্পানির নামে থাকা মোট ৮১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া হাছান মাহমুদের একটি গাড়ি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্য ছাড়া যে ছয়টি কোম্পানির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ হয়েছে, সেগুলো হলো দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস, জে এ এস লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস লিমিটেড এবং অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলারস পাওয়ার লিমিটেড।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যদের অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরই অংশ হিসেবে হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ছয়টি কোম্পানিতে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পায় দুদক। বর্তমানে এসব কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জমা আছে। এখন এসব টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। আদালত শুনানি নিয়ে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।