সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা

সাবেক সিইসি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ, অনুসন্ধানে দুদক

প্রশিক্ষণের নামে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিযোগে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এবং তাঁর সময়কার কমিশনের একাধিক সদস্য ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ)) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া কার্যক্রম দেখিয়ে নীতিমালা উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনের ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করা হবে। বিস্তারিত অনুসন্ধান শেষে বলা যাবে, কার কী ভূমিকা ছিল। এর বাইরেও অন্য কোনো অনিয়ম থাকলে সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষণের নামে এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব নীতিমালা উপেক্ষা করেই অর্থ খরচ হয়।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ)) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেন নুরুল হুদা। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাসহ পাঁচ কমিশনার ও দুই সচিবের বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকে অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং বর্তমান সচিব আলমগীর হোসেন।

গত ২২ জুন নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।