খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। গতকাল খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে
খুলনা-৫ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। গতকাল খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে

দেশবাসী এখন পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তন আনব

দেশবাসী এখন পরিবর্তন চায়। যারা দীর্ঘ ৫৪ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তারা পরীক্ষিত ও ব্যর্থ। আমরা বিশ্বাস করি ‘উই উইল ব্রিং দ্য চেঞ্জ’। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার সকাল থেকে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ছিল ব্যস্ততা। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থীর সঙ্গে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি নিয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আ স ম জামশেদ খোন্দকারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিন জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়। খুলনা-৫ আসন থেকে মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা-২ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মহানগরী সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুনাইন হেলাল, খুলনা-১ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা-৪ আসন থেকে মাওলানা কবিরুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া খুলনা-৩ আসন থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস খুলনা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়ন দাখিল শেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতে ইসলামী আটদলীয় সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। গত রোববার আরও দুটি দল যুক্ত হওয়ায় জোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশে। তিনি বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আসনভিত্তিক সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তিনি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য কারচুপি ও ভোটাধিকার হরণের আশঙ্কা তুলে ধরে বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভোট ডাকাতি ও রিগিংয়ের যেকোনো চেষ্টা জনগণ প্রতিহত করবে এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

খুলনা-১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু প্রার্থী কৃষ্ণ নন্দীকে ঘিরে আলোচনা প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ধর্ম নয় ন্যায়, ইনসাফ ও সুশাসনই জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির মূল ভিত্তি। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও এই দর্শন সমর্থন করলে জামায়াতে যুক্ত হতে পারেন।

নিজের প্রতিক্রিয়ায় কৃষ্ণ নন্দী বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমানসহ সব ধর্মের মানুষের কাছ থেকেই তিনি ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন এবং খুলনা-১ আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।