
খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)। মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে প্রাণহানি, গণধর্ষণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা এবং সম্পদ ধ্বংসের মতো ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বের প্রতি গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আজ সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথাগুলো বলেছে এইচআরএসএস।
বিবৃতিতে এইচআরএসএস বলেছে, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ভয়াবহ সহিংস ঘটনায় তিনজনের নৃশংস হত্যা, গণধর্ষণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা এবং বাজারের অসংখ্য দোকানপাট অগ্নিসংযোগে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের দুঃখজনক ও মর্মান্তিক পরিস্থিতি স্থানীয় মানুষের জীবন, নিরাপত্তা ও জীবিকার ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে এবং সামগ্রিকভাবে এ অঞ্চলকে আতঙ্ক ও অস্থিরতার মধ্যে ফেলেছে।
বিবৃতিতে সরকারের কাছে ৫টি দাবি জানিয়েছে এইচআরএসএস। দাবিগুলো হলো অবিলম্বে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, যাতে হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা এবং অগ্নিসংযোগসহ সবকিছু তদন্তের আওতায় আসে। ঘটনায় জড়িত সব অপরাধীকে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; বিশেষ করে যে অপরাধীরা স্কুলশিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করেছে, তাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে; ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; পাহাড়ি অঞ্চলে সাধারণ নাগরিকদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্বশীল ও মানবাধিকার-সম্মত পদ্ধতিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে; দীর্ঘ মেয়াদে পাহাড়ে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে স্থানীয়দের সঙ্গে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও মানবাধিকার রক্ষার কার্যকর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
বিবৃতিতে এইচআরএসএস বলেছে, ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছ তদন্ত ছাড়া এ ধরনের সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হবে না।