বাংলাদেশ রেলওয়ে
বাংলাদেশ রেলওয়ে

নাশকতা ঠেকাতে রেলের ২৫ দফা নির্দেশনা

বাসে আগুন ও বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণসহ নানা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়েতে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রেলের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে ২৫ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রেলের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে গত মঙ্গলবার এ বার্তা পাঠানো হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত এসব নির্দেশনা মানতে কঠোরভাবে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রেলের লিখিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি রেলের স্থাপনা ও চলমান সম্পদের ওপর (ট্রেন) নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ উপলক্ষে জননিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় ২৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার মৌখিকভাবেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে—রেলের প্রতিটি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের নিজ নিজ আওতাধীন রেললাইনে নিয়মিত টহল দিতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সেতু ও কালভার্ট এলাকায় সার্বক্ষণিক পাহারা এবং আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। রেললাইন বা স্থাপনায় সন্দেহজনক বস্তু দেখা গেলে, রেললাইনের ফিশপ্লেট অপসারণ বা লাইনের বিকৃতি দেখা গেলে তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তা জানাতে হবে। স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থানের পথগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টনী এবং তল্লাশি জোরদার করতে হবে।

রেলের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, রেলের ইঞ্জিন ও কোচ রাখার শেড, ডিজেল ডিপো ও ওয়ার্কশপ এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা পাহারা জোরদার করতে হবে। সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ জোরদার করা এবং জ্বালানি মজুত এলাকায় অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাইরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। সংকেত ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অপ্রয়োজনীয় ও অপরিচিত কারও প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। প্রতিটি স্টেশনসহ স্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা মজুত রাখতে হবে।

এসব নির্দেশনার অবহেলা বা গাফিলতি নিরাপত্তা লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করবে রেলওয়ে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিন জানানো হবে বৃহস্পতিবার। এর মধ্যে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো অনলাইনে ঘোষণা দিয়েছে যে তারা এদিন ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে ককটেল হামলা ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়েসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা সব সময়ই সতর্কতা বজায় রেখে রেল পরিচালনা করেন। রেলে যেহেতু বিপুলসংখ্যক যাত্রীর সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাই জননিরাপত্তার স্বার্থে বাড়তি কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।