এশিয়াটিকের বিবৃতি

স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছে

একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি এবং এর অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িয়ে ভুল ও বানোয়াট তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির গ্রুপ চেয়ারপারসন সারা যাকের আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, এশিয়াটিক সব সময় দরপত্র জমা দিয়ে এবং পিচে অংশগ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সব চুক্তি সম্পাদন করার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে ক্লায়েন্টদের সেবা দিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়। এ ছাড়া দেশের বিজ্ঞাপন ও কমিউনিকেশনস খাতে সেবা প্রদানে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির একচেটিয়া বাজার আধিপত্য নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন–সংক্রান্ত বিতর্কের ব্যাখ্যায় এশিয়াটিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে জয় বাংলা কনসার্টগুলো আয়োজন করেছে শীর্ষস্থানীয় অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান (এজেন্সি)। এ আয়োজনের সঙ্গে এশিয়াটিক ইভেন্টস বা এশিয়াটিকের কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা নেই। এশিয়াটিক বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কিছুসংখ্যক অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পেলেও কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণা বা অনুষ্ঠান আয়োজনের সঙ্গে কখনোই সম্পৃক্ত ছিল না।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনবিআরের অধীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) নির্দেশ সাপেক্ষে এশিয়াটিকের অধীন ১৭টি প্রতিষ্ঠান এবং এর পরিচালনা পর্ষদের ছয়জন পরিচালক ও দুজন কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ অথবা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি এশিয়াটিককে দেওয়া হয়নি। এর ফলে এশিয়াটিকের কর্মী ও তাঁদের পরিবার এবং পাঁচ শতাধিক সরবরাহকারী ও ভেন্ডর প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য অংশীজনেরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশের সব আইন ও বিধির প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল থেকে প্রায় ছয় দশক ধরে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। দেশীয় বিজ্ঞাপনশিল্পের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকেরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বহুমুখী এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৬ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরে এশিয়াটিক মার্কেটিং কমিউনিকেশনস লিমিটেডে রূপান্তরিত হয়।