সুজুকি সার্ভিস সেন্টার: উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের গল্প

দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দক্ষ টেকনিশিয়ান, আধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তরিক যত্নের মাধ্যমে সুজুকি প্রতিশ্রুতি দেয় রাইডারের পাশে থাকার
 ছবি: সুজুকির সৌজন্যে

যখন কেউ একটি বাইক কেনেন তখন তিনি কিন্তু শুধু যাতায়াতের কথা ভেবে বাইকটি কেনেন না, এটি হয়ে যায় তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং নির্ভরতার জায়গা। প্রতিদিন অফিস যাত্রা হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কিংবা হঠাৎ কোনো জরুরি কাজেই হোক, একজন রাইডারের একমাত্র ভরসা হলো তাঁর বাইক। আর সেই ভরসা টিকে থাকে তখনই, যখন বাইকের জন্য থাকে বিশ্বমানের সার্ভিস সাপোর্ট। ঠিক এখানেই সুজুকি সবার থেকে আলাদা একটি স্থান দখল করে নিয়েছে। দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দক্ষ টেকনিশিয়ান, আধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তরিক যত্নের মাধ্যমে সুজুকি প্রতিশ্রুতি দেয় রাইডারের পাশে থাকার।

এই আস্থার ভিত্তি গড়ে তুলতে সুজুকি দেশজুড়ে তৈরি করেছে অন্যতম বৃহৎ এবং প্রযুক্তিনির্ভর সার্ভিস নেটওয়ার্ক। বর্তমানে সুজুকির সেবা পাওয়া যাচ্ছে ১৩০টিরও বেশি অথরাইজড সার্ভিস সেন্টার এবং ছয় শটিরও বেশি সার্ভিস র‍্যাম্পে। যেখানে কাজ করছেন আট শতাধিক প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান। প্রত্যেকেই ‘সুজুকি জাপানে’র মানদণ্ড অনুযায়ী প্রশিক্ষিত। যাঁদের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তের রাইডার পেয়ে থাকেন একই মানের সেবা ও নির্ভরতার নিশ্চয়তা।

সুজুকি সার্ভিস সেন্টার মানে শুধু মেকানিক্যাল চেকআপ নয়, এটি একটি বিশ্বমানের সেবা-প্রক্রিয়া। যেখানে উন্নত সরঞ্জাম, অনুমোদিত প্রফেশনাল এবং মডেলভিত্তিক বিশেষজ্ঞ দল একযোগে কাজ করে। টেকনিশিয়ানরা শুধু যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করেন না, তাঁরা সব সময় চেষ্টা করেন বাইকের সমস্যার মূল কারণটি খুঁজে বের করতে, যাতে সেবা হয় নিখুঁত ও টেকসই।

সুজুকির প্রতিটি অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে ব্যবহৃত হয় তাদের নিজস্ব যন্ত্রাংশ, যা কড়া মান নিয়ন্ত্রণ ও গুণগত পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়। ফলে গ্রাহকেরা পায় স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতার প্রতিশ্রুতি। সেই সঙ্গে প্রতিটি কাজের আগে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হয় সেবা ও খরচের বিস্তারিত।

গ্রাহকদের সুবিধার জন্য সুজুকি অফার করে তিন স্তরের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ প্যাকেজ—এক্সিকিউটিভ, প্রিমিয়াম এবং সিগনেচার। যেখানে অন্তর্ভুক্ত থাকে ইঞ্জিনের তেল ও ফিল্টার পরিবর্তন, ব্রেক ও ক্লাচ সিস্টেম পর্যালোচনা, স্পার্ক প্লাগ চেক এবং এবিএস বিশ্লেষণসহ বিস্তৃত টেকনিক্যাল সার্ভিস। এ ছাড়া সুজুকি দেয় ৩ বছর বা ৪০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সাপোর্ট, যার মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট সংখ্যক ফ্রি ও পেইড সার্ভিস, আসল যন্ত্রাংশের নিশ্চয়তা এবং প্রয়োজনে রোড সাইড অ্যাসিস্ট্যান্স।

চট্টগ্রামের সুজুকির একজন রাইডার তারেক মাহমুদ। পেশায় চাকরিজীবী। তারেক মাহমুদ বলেন, ‘আমি প্রায় প্রতিদিন বাইক চালাই। যতবার সুজুকি সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছি, মনে হয়েছে বাইকের নয়, নিজেরই যত্ন করাচ্ছি।’

ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী রবিন বলেন, ‘এক্সেস-১২৫-এর প্রথম সেবা করাতে গিয়েই বুঝেছিলাম, সুজুকি শুধু বাইক তৈরি করে না, তাদের সেবা নিয়ে গ্রাহকের পাশেও থাকে সব সময়।’

র‍্যানকন মোটরবাইকস লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সুজুকির সেবা এখন শুধু শহরেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি ছড়িয়ে পড়েছে জেলা, মফস্বল এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও। ফ্রি সার্ভিস ক্যাম্প, সেফ রাইড ট্রেনিং এবং কমিউনিটি অ্যাকটিভেশন কর্মসূচির মাধ্যমে সুজুকি গড়ে তুলেছে সচেতন, নিরাপদ ও টেকসই রাইডার কমিউনিটি। সুজুকির প্রতিটি সেবা তাই কেবল বাইক মেরামতের গল্প নয়, এটি এক দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি, যেখানে গ্রাহকের সন্তুষ্টিই প্রধান অগ্রাধিকার।

এটিই হলো সুজুকির সার্ভিস, যা গড়ে উঠেছে বিশ্বাস ও যত্নে।