
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা নিয়ে করা রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার বিষয়টি তালিকা থেকে বাদ দেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ রিটটি করেন, যা আজ কার্যতালিকায় ২৮ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
গত ২৯ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। পরদিন ৩০ মে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করে এনএসসি। এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ফারুক গতকাল রিটটি করেন।
আদালতে ফারুকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী কায়সার কামাল ও এ কে এম আজাদ হোসেন শুনানিতে ছিলেন।
এনএসসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বিসিবির পক্ষে আইনজীবী মাহিন এম রহমান শুনানিতে অংশ নেন। আমিনুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম।
পরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিদকদের বলেন, আদালত শুনেছেন। আদালত মনে করেছেন—এটা রুল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। আলোচনা করে রিটটি কার্যতালিকায় থেকে বাদ দিয়েছেন।
রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনানির পর আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। রিটটি অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করার স্বাধীনতা থাকবে বলা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। রিটটি অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করার স্বাধীনতা থাকবে বলা হয়েছে।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ২৯ মে ও ৩০ মের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয় রিটে। আর রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই দুই সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয় রিটে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এনএসসি। পরে বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক সভাপতি নির্বাচিত হন।