‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’ আয়োজনের জুরিবোর্ডে ছিলেন (ডান থেকে) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার (প্রধান বিচারক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন
‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’ আয়োজনের জুরিবোর্ডে ছিলেন (ডান থেকে) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার (প্রধান বিচারক), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন

এবার কারা হচ্ছেন ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’, জানা যাবে ২৭ সেপ্টেম্বর

‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’ আয়োজনে কয়েক ধাপে যাচাই-বাছাই শেষে পাওয়া গেছে জুরিবোর্ডের চূড়ান্ত ফলাফল। নির্বাচিত হয়েছেন সমাজ ও দেশের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা সেরা ১০ তরুণ। ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের সম্মাননা জানানো হবে। প্রত্যেকে পুরস্কার হিসেবে পাবেন গোল্ড মেডেল ও দুই লাখ টাকা।

৩৫ বছরের কম বয়সীদের অর্জন ও উদ্যোগের গল্প ছড়িয়ে দিতে আয়োজন করা হয়েছে ‘স্টারশিপ ইন্সপায়ারিং টেন’। স্মাইল ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের এ উদ্যোগের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার প্রথম আলো ডটকম। এর মাধ্যমে দেশের এমন ১০ তরুণ-তরুণীকে খুঁজে নেওয়া হয়েছে, যাঁরা নিজেদের আত্মবিশ্বাস, অদম্য চেষ্টা ও সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে তৈরি করেছেন সাফল্যের অনন্য গল্প।

আয়োজনটির জুরিবোর্ডে ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার (প্রধান বিচারক), বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন সেঁজুতি রহমান।

inspiring10.com ওয়েবসাইটে নিজের জন্য আবেদন করার পাশাপাশি সুযোগ ছিল অন্যকে মনোনয়ন দেওয়ারও। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা হওয়া ৪১৬টি আবেদন থেকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয় ৪৩ জনকে। যাঁদের প্রত্যেকের অর্জন এবং উদ্যোগের খুঁটিনাটি নানা বিষয় বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্যায়নপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন বিচারকমণ্ডলী।

তিনজন বিচারকের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতে শীর্ষ ১৫ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। পরে সরেজমিন তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয় ১০ জন বিজয়ীকে। সেরা ১০ নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় ছিল প্রার্থীর ব্যক্তিগত অর্জন ও উদ্যোগের নতুনত্ব, সমাজে ইতিবাচক প্রভাব, কাজের ধারাবাহিকতা, ভবিষ্যৎ-সম্ভাবনা ইত্যাদি।

এ ব্যাপারে আয়োজনটির প্রধান বিচারক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, ‘যে ১০ জনকে আমরা নির্বাচিত করেছি, তাঁরা শুধু আজকের জন্য নন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে নিজ নিজ অর্জন ও উদ্যোগের গল্পগুলোকে সারা পৃথিবীতে পৌঁছে দিতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, এ ধরনের স্বীকৃতি ও সম্মাননা তাঁদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশের অসংখ্য তরুণকেও অনুপ্রাণিত করবে।’

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, পরিবেশ, সামাজিক উদ্যোগ, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা, উৎপাদন ও শিল্প, সেবা খাতসহ অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পেরেছেন আগ্রহীরা।