নারী অধিকার আন্দোলনের বিবৃতি

নারীকে করা অশালীন সমালোচনার তীব্র নিন্দা, সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আমিন ভূঁইয়া (মোনামি), জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা তাসনিম জারাসহ নারীদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন সমালোচনার শিকার হচ্ছেন জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘নারী অধিকার আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। তারা সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার উল্লেখ করে এসব ঘটনা রোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।

আজ বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী মমতাজ মান্নান ও সেক্রেটারি নাজমুন নাহার এ দাবি করেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনায় নারীদের প্রতি বিদ্বেষ ও বৈষম্যমূলক মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে, যা কেবল ব্যক্তিগত মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে না, বরং সমাজে নারী বিদ্বেষের সংস্কৃতি উসকে দিচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেহরিন আমিন ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন সমালোচনার শিকার হয়েছেন। একইভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারী বিভাগের নেতা-কর্মীদের ওপর নোয়াখালী, নওগাঁ, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় হামলা ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া তাসনিম জারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নারী নেত্রীদের লক্ষ্য করে অনলাইনে নগ্ন ও কুরুচিপূর্ণ প্রচার চালানো হচ্ছে।

নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রীরা বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নমত, পেশাগত অবস্থান বা সামাজিক পরিচয়ের কারণে নারীকে টার্গেট করে অপমান বা চরিত্রহনন করা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং সভ্য সমাজের জন্য লজ্জাজনক। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তা রোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তিন দফা দাবি করেছে সংগঠনটি।

দাবিগুলো হলো কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন সমালোচনা, হামলা ও হয়রানির ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা; অনলাইন ও গণমাধ্যমে নারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ প্রচার, ছবি বিকৃতি ও ‘স্লাটশেইমিং’-এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নারী শিক্ষক, রাজনীতিক, সাংবাদিক ও অন্য পেশাজীবীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

বিবৃতিতে নারী অধিকার আন্দোলন নারীকে অবমাননা নয়, নারীর প্রতি সম্মান ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সমাজের সব নাগরিক ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানায়।