
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার অভিযুক্ত মূল আসামি ফয়সাল করিম মাসুদকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. আমিনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, মো. আমিনুল ইসলাম (রাজু) (৩৭) ঘটনার পরপরই বিকেলে নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ফিলিপের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এজাহারনামীয় আসামি ফয়সাল করিমকে সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে সহায়তা করেন। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আসামিদের আত্মগোপনে সহায়তাকারীদের অর্থ প্রদানে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় (২৪ ডিসেম্বর) মিরপুর-১১ থেকে আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উল্লিখিত নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুকৌশলে এড়িয়ে যান। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপক্ষের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আমিনুলের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায়। ঢাকায় মিরপুর ১১ নম্বরে থাকতেন।
এর আগে এ মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আসামিরা হলেন ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া আক্তার ও তাঁর শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ, রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী, মোটরসাইকেলের মালিক মো. কবির, ভারতে পালাতে সহযোগিতাকারী সিবিউন দিউ ও সঞ্জয় চিসিম। তাঁদের মধ্যে ফয়সালের মা-বাবা দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া অপর আসামিরা রিমান্ডে রয়েছেন।
হাদিকে গুলি করার পর ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে হাদি মারা গেলে মামলাটিতে হত্যার ধারা ৩০২ যুক্ত হয়।