প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন মোড়কে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের ইঙ্গিত বলে মনে করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। বিবৃতিতে কলা হয়, সাম্রাজ্যবাদী ভারত আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করতে মরিয়া। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক আগ্রাসন পরিচালনার এই ভারতীয় চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানো গণতান্ত্রিক শক্তির কর্তব্য।
বিবৃতিতে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করা হয়। তাঁরা বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল মনে করে, শরিফ ওসমান হাদি হত্যা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। হামলাকারীদের উদ্দেশ্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনিশ্চিত করে দেশে চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি করা।
যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ কৃষক ও গ্রামীণ মজুর ফেডারেশনের সভাপতি সজীব রায়, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (মালেমা) সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমীর আব্বাস, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি কাজী ইকবাল ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।