
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ সে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ পরিচয়পত্র পেশ করেন। দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ভারতের তথ্য অধিদপ্তর পৃথকভাবে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি মুর্মু নতুন হাইকমিশনারকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, দিল্লি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের অভিন্ন ত্যাগ দিল্লি ও ঢাকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি। তিনি অভিন্ন সমৃদ্ধি এবং সংযুক্তির বিকাশের লক্ষ্যে একটি যৌথ দৃষ্টিভঙ্গির ওপর গুরুত্ব দেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে দুই যাতে দেশ একে অন্যের উদ্বেগটাকে আত্মস্থ করতে পারে, সে বিষয় সামনে এনেছেন।
রিয়াজ হামিদুল্লাহ ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারত্ব জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দিল্লি পৌঁছান এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ। ১৫ মে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু পরিচয়পত্র পেশের নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা আগে রিয়াজ হামিদুল্লাহর পরিচয়পত্র পেশ স্থগিত করা হয়। ভারত সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জানানো হয়। তবে এই স্থগিতের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
দিল্লিতে হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগের আগে রাষ্ট্রদূত হামিদুল্লাহ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব (পশ্চিম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি এর আগে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।