
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিবেশ ও সুরক্ষা পেলে কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সমর্থ হবেন।
আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এহছানুল হক এ কথা বলেন।
নতুন জনপ্রশাসনসচিব বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিবেশ ও সুরক্ষা (প্রটেকশন) পেলে আমার অফিসারেরা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সমর্থ হবেন।’
এহছানুল হকের কাছে সাংবাদিকেরা জানতে চান, তিনি কী ধরনের সুরক্ষার কথা বলছেন? জবাবে সচিব বলেন, সুরক্ষা হলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া।
শূন্য থাকার তিন সপ্তাহ পর আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এহছানুল হক। তিনি এত দিন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে চুক্তিতে ছিলেন। এখন তাঁকে চুক্তির ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আনা হলো।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার মো. মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দিয়েছিল। দুই বছরের জন্য চুক্তিতে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর মোখলেস উর রহমানকে বদলি করে পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। এর পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিবের পদটি ফাঁকা ছিল। এ কারণে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি, নিয়োগ ও পদোন্নতির কাজ প্রায় স্থবির হয়ে যায়। আটকে যায় কিছু আর্থিক বিষয়ও।
এত দিন একজন অতিরিক্ত সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কেবল রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। এখন এই পদে নিয়োগ পেলেন ১৯৮২ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা এহছানুল হক।
সামনে জাতীয় নির্বাচন। মাঠ প্রশাসনসংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে এসেছেন। এটাকে কি চ্যালেঞ্জ মনে করছেন—সাংবাদিক এমন প্রশ্ন করেন এহছানুল হককে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ হলো, এটা সবচেয়ে সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হবে। নির্বাচনকালীন আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীন চাকরি করি। আমাদের যাঁরা মাঠ প্রশাসনে আছেন, আমার বিশ্বাস, তাঁরা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে এই দায়িত্ব পালন করবেন। সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমার। এই দায়িত্ব আমি নিলাম।’
নির্বাচনের আগে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে পরিবর্তন আসবে কি না, জানতে চান সাংবাদিক। জবাবে এহছানুল হক বলেন, এটা নিয়ে নীতিনির্ধারণী মহলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এর আগে কিছু বলতে পারছেন না তিনি।