দেশের বিলুপ্তপ্রায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পগুলোকে পুনরুদ্ধারে নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত ‘হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালা, ২০১৫’-এর আলোকে এ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গত মঙ্গলবার বৈশাখী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা জানান। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমি যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।
অতিরিক্ত শিল্পসচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিসিক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন খান, সংস্কৃতিসচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে সাড়ে নয় লাখ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ৩৪ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এ খাতের অবদান ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী ছয়জন গুণী কারুশিল্পীর হাতে কারুরত্ন ও কারুগৌরব পুরস্কার তুলে দেন।
বিসিক বলছে, এবারের মেলায় ১১২টি স্টলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হস্ত, কুটির ও কারুশিল্পীদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের প্রদর্শনী হবে। এর মধ্যে ১০টি স্টলে কারুশিল্পীরা তাঁদের পণ্য তৈরির কাজ প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন।
মেলা ২৩ এপ্রিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।