
আমাদের টানাপোড়েনের সংসার। আয় কম। করোনার পর থেকে সংসারে আয় বাড়েনি। উল্টো ব্যয় বেড়েছে। বাজারে গেলে দেখি জিনিসপত্রের দামে আগুন। মিনিকেট চাল ৭০ টাকা কেজি। ডিমের হালি ১০০ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকার কাছাকাছি। সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। এমনকি শাকসবজির দামও বেড়েছে।
নতুন বাজেটে আমার একটাই চাওয়া, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনবে। আমরা যাঁরা সীমিত আয়ের মানুষ, তাঁদের জীবন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আমার এক সন্তান। তার স্কুলের খরচ বেড়েছে। বই-খাতা-কলম সবকিছুর দাম বেড়েছে। বাচ্চার স্কুলড্রেস বানানোর খরচও ২০০ টাকা বেড়েছে। বাজারে বরাদ্দও বাড়ে। কিন্তু বাজেট আমাদের কী দেয় সেটা বুঝি না।
এ মাস থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমি আশা করি, বাজেটে সরকার বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। করোনার সময় আমাদের পরিবারের কয়েকজনের চাকরি চলে গেছে। তাঁরা এখনো চাকরি পাননি। তাঁরা যাতে চাকরি পান, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
শুধু বাজেটের আকার বাড়ালেই হবে না, এর পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সেবার মানও বাড়াতে হবে। নারী ও শিশুদের জন্য সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। আমার কাছে বাজেটকে তখনই অর্থবহ মনে হবে, যখন দেখব সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছে।
সরকার বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এসব অবকাঠামো যেমন দরকার, তেমনি পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি। বাজেটের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
তবে সরকারের আয় বাড়ানোর অনেক উপায় আছে। সরকার চাইলে বিলাস দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর দেওয়ার মতো অনেক মানুষ আছে, সরকার তাদের করের আওতায় নিয়ে আসতে পারে। বাজেটে এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের ওপর চাপ আরও বাড়ে।