Thank you for trying Sticky AMP!!

শুল্ক ছাড়া যা আনা যাবে

আমরা অনেকেই বিদেশে ঘুরতে যাই। আবার দেশের লাখ লাখ শ্রমিক বিদেশে থাকেন। আপনি কি জানেন, শুল্কমুক্তভাবে কী কী জিনিস আনতে পারবেন। উত্তর হলো, আপনি গৃহস্থালি ও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ২৬ ধরনের জিনিসপত্র শর্ত সাপেক্ষে শুল্ক ছাড়াই বিদেশ থেকে আনতে পারবেন। আপনি বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে সরাসরি বের হয়ে আসতে পারবেন।

বিনা শুল্কে যাত্রীরা যেসব পণ্য আনতে পারবেন, সেই তালিকায় আছে দুটি মোবাইল ফোন, ক্যাসেট প্লেয়ার, ওয়াকম্যান, অডিও সিডি প্লেয়ার, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার, কম্পিউটার স্ক্যানার, কম্পিউটার প্রিন্টার, ফ্যাক্স মেশিন, সাধারণ ভিডিও ক্যামেরা, স্টিল বা ডিজিটাল ক্যামেরা, ল্যান্ড টেলিফোন সেট, ইলেকট্রিক ওভেন বা মাইক্রোওভেন, রাইসকুকার বা প্রেশারকুকার বা গ্যাসে ওভেন (বার্নারসহ), টোস্টার বা স্যান্ডউইচ মেকার বা ব্লেন্ডার বা ফুড প্রসেসর বা জুসার বা কফি মেকার, সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার, সেলাই মেশিন, টেবিল বা সিলিং ফ্যান, খেলার সামগ্রী, এক কার্টন সিগারেট, ভিসিআর বা ভিসিপি, দুই বা চার স্পিকারের মিউজিক সেন্টার, এলসিডি কম্পিউটার মনিটর এবং ২১ থেকে ২৯ ইঞ্চি পর্যন্ত প্লাজমা, এলইডি বা এলসিডি টেলিভিশন। এ ছাড়া একজন যাত্রী ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনা ও ২০০ গ্রাম পর্যন্ত রুপার গয়না আনতে পারবেন। তবে একই ধরনের ১২টির বেশি অলংকার আনা যাবে না।

এসব জিনিসপত্রের বাইরে সোনার বার (স্বর্ণপিণ্ড) আনলে ভরিতে দুই হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। রুপার বার আনলে ভরিতে ৬ টাকা দিতে হবে। এ ছাড়া ২২ ইঞ্চির বেশি স্ক্রিনের টেলিভিশন আনলে আকারভেদে ৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা শুল্ক বসবে। রেফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজারে ৫ হাজার টাকা ও ডিশ অ্যান্টেনায় ৭ হাজার টাকা দিতে হবে। কোনো যাত্রী বিদেশ থেকে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এয়ারকন্ডিশনার আনলে ৭ থেকে ২০ হাজার টাকা শুল্ক আরোপ হবে।

অনেকেই শখ করে বিদেশ থেকে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ঝাড়বাতি আনেন। মনে রাখবেন, বিমানবন্দরে প্রতিটি ঝাড়বাতিতে ৩০০ টাকা শুল্ক দিয়ে ছাড়াতে হবে। ওয়াশিং মেশিন আনতে শুল্কের পরিমাণ ৩ হাজার টাকা। ১৫ বর্গমিটারের বেশি কার্পেট আনলে প্রতি বর্গমিটারের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হবে। অন্যদিকে অনেকেই দামি এইচডি ক্যাম, ডিভি ক্যাম ও বেটা ক্যাম বা পেশাদারি কাজের জন্য ক্যামেরা আনেন। এ ক্ষেত্রে শুল্ক বসবে ১৫ হাজার টাকা।

যাত্রীদের এই ব্যাগেজ রুলস শুধু বিমানবন্দর নয়, যেকোনো স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে কোনো বাংলাদেশি বিদেশে মৃত্যুবরণ করলে তাঁর ব্যাগেজ সব ধরনের শুল্ক-করমুক্ত। অসুস্থ, পঙ্গু ও বৃদ্ধ যাত্রীদের ব্যবহারে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও হুইলচেয়ারও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।