পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত

চুড়ান্ত অনুমোদনের আগে পিপলস ব্যাংকের সম্মতিপত্র বাতিল করে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বেসরকারি খাতে ‘পিপলস ব্যাংক লিমিটেড’ নামে নতুন একটি ব্যাংক অনুমোদনের উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ২০১৯ সালে ব্যাংকটিকে লেটার অব ইনটেন্ট বা আগ্রহপত্রও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। তবে তিন বছরে কয়েক দফায় সময় নিয়েও সেই আগ্রহপত্রের শর্ত পূরণ করতে পারেনি ব্যাংকটি। এই কারণে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে নতুন করে আবারও সময় বাড়ানোর আবেদন নাকচ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটিকে দেওয়া আগ্রহপত্রও বাতিল হয়ে গেছে। এতে আপাতত ভেস্তে গেছে এই ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রস্তাবিত এই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবুল কাশেম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৯ সালে যখন আগ্রহপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন ছাড়া আর কেউ পর্ষদে নেই। আবার বারবার সময় নিয়েও মূলধন জোগাড় করতে পারেনি ব্যাংকটি। এখন আবার সময় চাইছে। তাই আর সময় দেওয়া হয়নি। এ জন্য আগ্রহপত্রও বাতিল হয়ে গেছে।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবুল কাশেম ব্যাংক গঠনের জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন। তবে তাঁদের সবাইকে পরিচালক বা উদ্যোক্তা পদ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে তাঁদের বাদ দিয়ে সাকিব আল হাসান, তাঁর মা শিরিন আক্তারসহ কয়েকজনকে নতুন করে পরিচালক হিসেবে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় ব্যাংকটি। পাশাপাশি শর্ত পরিপালনের জন্য আরও সময় চায়। তবে সময় না দেওয়ায় নতুন করে ব্যাংকটির পরিচালক পদে কেউ যুক্ত হওয়ার অনুমোদন পাননি।

২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বেঙ্গল কমার্শিয়াল, সিটিজেন ও পিপলস নামে নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেঙ্গল কমার্শিয়াল কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটিজেন ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর অপেক্ষায়। আর পিপলস মূলধন জোগাড় করতে না পেরে ঘুরছে এখনো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পর্ষদ শর্ত পরিপালনের জন্য ব্যাংকটিকে আর সময় দেওয়ার পক্ষে সায় দেয়নি। এ জন্য এই ব্যাংক অনুমোদনের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল।

একটি নতুন ব্যাংক অনুমোদনের জন্য পুরো ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকলেও নতুন ব্যাংক দেওয়া হচ্ছে সরকারের ইচ্ছায়। এ ক্ষেত্রে সরকারের একটি পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত থাকলেও এখন আর নেই বলে জানা গেছে।