Thank you for trying Sticky AMP!!

সামনে ঈদ, প্রবাসী আয়ে বড় ঢল

সামনে ঈদ। এদিকে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার প্রকোপ। এর মধ্যে দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা বেশি বেশি টাকা পাঠানো শুরু করেছেন। বিদায়ী এপ্রিলে প্রবাসীরা সব মিলিয়ে ২০৬ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। গত বছরের এপ্রিলে দেশে এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। বিশ্বজুড়ে নতুন লকডাউনের পরিস্থিতিতেও প্রচুর অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা।

সরকারি ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে অনেক ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে।
ঈদের কারণে অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন, আবার জাকাতের টাকাও দেশে আসছে। ফলে ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, লকডাউনের কারণে যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া রমজানের কারণে ভালো সাহায্য-সহযোগিতাও আসছে। আর সরকারি ২ শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে অনেক ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ অর্থ দিচ্ছে। ঈদের কারণে অনেকে টাকা পাঠাচ্ছেন, আবার জাকাতের টাকাও দেশে আসছে। ফলে ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে বড় উল্লম্ফন দেখা গেছে। একই কারণে সামনের কয়েক দিনও প্রচুর ডলার আসবে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল। তা গত মার্চে কমে আসে। তবে এপ্রিলে আবার বেড়েছে। গত মার্চ মাসে এসেছে ১৯১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি ডলার আসে। গত বছরের জুলাই, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর—এই পাঁচ মাসের প্রতিটিতেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় আসে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার আসে জুলাইয়ে। আবার এপ্রিলের আয় ২০৬ কোটি ডলারে পৌঁছাল।

Also Read: ১৫ দিনেই এসেছে এক মাসের বেশি প্রবাসী আয়

২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করার পর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয়ে গতি আসতে থাকে। অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যায়। করোনার মধ্যে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করা হলেও তেমন প্রভাব পড়েনি।
এখন সরকারের ২ শতাংশের সঙ্গে অগ্রণী, রূপালী, ইসলামী ব্যাংকসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক বাড়তি ১ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।

আবার মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার বেশি এলেও সরকারি ২ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে। সব মিলিয়ে বৈধ পথে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে।