বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠী থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৬৬ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ সংযুক্ত এবং জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দেশের ভেতরে রয়েছে ৫৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং বিদেশে ১০ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। অর্থ মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সংযুক্ত করার অর্থ হচ্ছে এসব সম্পদ যাঁদের নামে আছে, তাঁরা আর এগুলো বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবেন না। একইভাবে জব্দ করা অর্থ ব্যাংক থেকে তুলতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা এবং নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির ৩০তম বৈঠক আজ বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এ বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতেই বিজ্ঞপ্তিটি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সম্পদ উদ্ধার কার্যক্রম অধিকতর দক্ষ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে বিদ্যমান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর কিছু ধারা যুগোপযোগী করে আইনটিকে সংশোধন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অগ্রাধিকার মামলাগুলোর যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগপত্র দাখিল এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত ১১টি মামলার জন্য গঠিত যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দলের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে বাংলাদেশের অবস্থান মূল্যায়নের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) পক্ষ থেকে আগামী ২০২৭-২৮ মেয়াদে চতুর্থ পর্বের মিউচুয়াল মূল্যায়ন সম্পন্ন হবে। বৈঠকে এ মিউচুয়াল মূল্যায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দেন অর্থ উপদেষ্টা।
বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্যসচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্রসচিব (দ্বিপক্ষীয়), অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, সিআইডি প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।