জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবন

৫ মাসে শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি ২৪ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ২৪ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। প্রতিবছরের মতো শুল্ক-কর আদায়ে এবার পেছনে থাকল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না এনবিআর।

এনবিআরের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই-নভেম্বর সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা।

এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। আজ রোববার প্রকাশিত এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের হালনাগাদ চিত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

রাজস্ব আদায়ে গতি নেই

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসের রাজস্ব আদায়ে গতি নেই। প্রতি মাস হিসাবেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, জুলাই-নভেম্বর সময়ে আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও আয়কর—এই তিন খাতের মধ্যে কোনো খাতেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। ৫ মাসে ঘাটতি হয় ১২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৫৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৪৭ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা।

আমদানি খাতে ৫ মাসে ৫০ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ৮ হাজার ১১৫ কোটি টাকা।

গত জুলাই-নভেম্বর মাসে ভ্যাট বা মূসক আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। এ সময়ে এই খাতের লক্ষ্য ছিল ৬২ হাজার ৪৮ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের এনবিআরকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।

এনবিআরের কর্মকর্তা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতি থাকায় রাজস্ব আদায় তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। তাঁরা বলেন, করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন নিশ্চিতকরণ, কর ফাঁকি প্রতিরোধ এবং ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার করার কাজ করছে এনবিআর।