অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ

অর্থনীতি, স্বাস্থ্য—সব ব্যাপারেই ভারতকে সবচেয়ে বেশি পাই আমরা: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খুব যে খারাপ হয়ে গেছে, তা নয়। চেষ্টা চলছে কোনোভাবে যেন তা অস্বাভাবিক না হয়। আর শুধু ভারত কেন, বাংলাদেশ কোনো প্রতিবেশীর সঙ্গেই তিক্ত সম্পর্ক চায় না।

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত একেবারে হস্তক্ষেপ করে না বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘হয়তো কিছু কিছু বক্তব্য রাখে। বাংলাদেশও সেটি রাখে। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা আঞ্চলিকতায় বিশ্বাস করেন। ভারত বড় প্রতিবেশী। ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক। পাকিস্তান আস্তে আস্তে সম্পর্ক করছে। আমরা শুধু বাংলাদেশ নিয়ে তো থাকতে পারব না। অর্থনীতি, স্বাস্থ্য—সব ব্যাপারেই ভারতকে সবচেয়ে বেশি পাই আমরা।’

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি সব সময় বলি যে আমাদের বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আলাদা করে দেখতে হবে। ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে। রাজনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে। ভারত থেকে চাল না এনে যদি ভিয়েতনাম থেকে আনতে যাই, কেজিতে আরও ১০ টাকা করে বেশি লাগবে। ভারত থেকে প্রতিযোগিতামূলক দামে চাল পেলে অন্য জায়গা থেকে আনব না।’

ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক মোটামুটি অবস্থায় রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা খারাপের দিকে যাবে না। চেষ্টা চলছে। সেটার প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, ভারত থেকে এর আগেও চাল আনা হয়েছে। কিছুদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে একটু দেরি হয়েছে। আগে সিদ্ধান্ত নিলে দেশে পেঁয়াজের দাম আরও কমত। ভারতে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০ টাকায়ও বিক্রি হয়নি।

জাতীয় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো করার জন্য কী কাজ করছে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘কয়েক দিন পর জানতে পারবেন। ভারতের ব্যাপারে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অবহিত আছেন। এখন বিস্তারিত বলা যাবে না।’

দেশের ভেতরে ভারতবিরোধী প্রচার সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এগুলো যারা করছে, তারা আমাদের জন্য জটিল করে ফেলছে। এগুলো আমাদের জাতীয় মনোভাব না। আপনি, আমরা কেউই এগুলো চাই না। শুধু প্রতিবেশী দেশ না, কোনো দেশের সঙ্গে এগুলো চাই না।’

এসব বন্ধ করার জন্য সরকার কী করেছে, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সবই কি বন্ধ করা যায়? একজন দাঁড়িয়ে বলে দিল, সেটাকে আপনি কীভাবে থামাবেন?’