হিলি স্থলবন্দর
হিলি স্থলবন্দর

৭ বছর পর হিলি দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ২৫ টন আপেল

ফল আমদানিতে ট্রাকের চাকা অনুযায়ী শুল্কায়ন প্রথার কারণে দীর্ঘ সাত বছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আপেল আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ২৫ মেট্রিক টন আপেলবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২০১৮ সালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সর্বশেষ আপেল আমদানি হয়েছিল বলে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

আজ আমদানি হওয়া আপেল এনেছে চট্টগ্রামের খাজা আজমির ট্রেডিং নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ভারতের কাশ্মীর থেকে এসব আপেল আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি। আর ভারতের মালদহ এলাকার মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব আপেল রপ্তানি করেছে বলে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে। তবে ভারত থেকে আমদানি হওয়া এসব আপেল খালাস করতে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ দপ্তর থেকে এখনো ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

হিলি স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘করোনার আগে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আপেল আমদানি হয়েছিল। তারপর আর আমদানি হয়নি। আপেল আমদানিতে হিলি কাস্টমস আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। দেশের বাজারে আপেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এখন আবার এ ফল আমদানি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবাই সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের ফল আমদানি হবে। এতে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।’

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৫ মেট্রিক টন আপেল আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে আপেল খালাসের ছাড়পত্রের জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এখনো আবেদন করেনি। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন আপেল আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদেশ অনুযায়ী, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ৬ চাকার গাড়িতে ১৪ টন, ১০ চাকার গাড়িতে ১৮ টন এবং ১২ চাকার গাড়িতে ২০ টন পণ্যের শুল্কায়নব্যবস্থা চালু রয়েছে। এ শুল্কায়নের ফলে ফল আমদানিতে খরচ বেশি হওয়ায় আমদানিকারকদের অনীহার কারণে ২০১৮ সালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সব ধরনের তাজা ফল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।