সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক পুনরায় বিবেচনা করা উচিত: এফবিসিসিআই
আমদানিযোগ্য ২৩৪টি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক এবং ১৫১টি পণ্যের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে স্থানীয় শিল্প সংকটে পড়বে বলে মনে করে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। প্রস্তাবিত নতুন বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। রাজধানীর মতিঝিলে নিজস্ব কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সম্পূরক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কের জায়গাটা সরকারের পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। তা না হলে স্থানীয় শিল্প সংকটে পড়তে পারে।’ নতুন বাজেট ব্যবসায়ীবান্ধব হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি জসিম উদ্দিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনের নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের ডলারের সংকট আছে। এই সংকটের সময় বিদেশি পণ্য আনতে চাই কি চাই না? আমার মনে হয়, এটা সময় নয়। এই মুহূর্তে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’
ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা একটা কথা বারবার বলেছিলাম, ডলার সংকটের কারণে আমরা বিদেশি অনেক পণ্যই আনতে পারিনি। আমদানি বিকল্প পণ্য দেশে যত বেশি উৎপাদন করতে পারব, তত বেশি আমদানির ওপর চাপ কমবে। তাই স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া এবং এসব পণ্যের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহযোগিতা দেওয়া—এটা করা হলে আগামী দুই বছর পর দেখা যেত অনেক পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে না।’
ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করাকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন। এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা আরেকটু বেশি হলে আরও ভালো হতো। মূল্যস্ফীতি যা দাঁড়িয়েছে, তাই আমরা করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছিলাম।’
আরও পড়ুন
-
দুবাইয়ে ৫৩২ জন বাংলাদেশির বাড়ি-ফ্ল্যাট আছে
-
শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে ঘুম থেকে তুলে বিছানাপত্র নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ
-
গাজায় পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কটাক্ষ, কড়া জবাব নেতানিয়াহুর
-
রাজনীতিবিদেরা অর্থনীতিবিদদের হুকুমের আজ্ঞাবহ হিসেবে দেখতে চান: ফরাসউদ্দিন
-
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিষয়ে কীভাবে জানলেন ফখরুল, প্রশ্ন কাদেরের