গোযায়ান: ভ্রমণের দিনবদল

ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা করার আগেই ভ্রমণকারীরা গোযায়ানের অ্যাপ থেকে জেনে নিতে পারেন ট্রাভেল নিয়ে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে
ছবি: গোযায়ানের সৌজন্যে

আজও শহরের ব্যস্ততা, রাস্তাঘাটের শব্দ, কাজের চাপ—সবকিছু আমাদের ঘিরে রাখে। তবু কল্পনার চোখে আমরা কখনো সিলেটের চা–বাগানে হেঁটে যাচ্ছি, কখনো সবুজ পাহাড়ের মধ্যে কফির কাপ হাতে বসে পাহাড়ি গ্রাম দেখছি, আবার কখনো ব্যাংককের রঙিন শহরে ঘুরছি। ভ্রমণ মানে এটাই—প্রতিদিনের ব্যস্ততা সামলে কিছু সময় বের করে প্রিয় জায়গায় ছুটে যাওয়া কিংবা নতুন অভিজ্ঞতার খোঁজে বেরিয়ে পড়া।

দিন দিন বদলে যাচ্ছে ভ্রমণের ধরন। অনেকেই হুট করে বেরিয়ে পড়ছেন হালকা ব্যাগ কাঁধে নিয়ে, আবার কেউ করছেন সময় নিয়ে খুঁটিনাটি সব প্ল্যান। শুধু গন্তব্য নয়, এখন ভ্রমণকারীরা গুরুত্ব দেন কোথায় নিরাপদভাবে বুকিং করা যাবে, কোন হোটেল তাঁদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেবে কিংবা কোথায় নিজের মতো করে ট্যুর প্ল্যান বানানো সম্ভব।

বিদেশে ভ্রমণেও পরিকল্পনার গুরুত্ব বাড়ছে। থাইল্যান্ডের ফ্লাইট বুকিং থেকে শুরু করে স্থানীয় কফি শপে খাবার খাওয়া কিংবা স্থানীয় গাইড নেওয়া—সবকিছু আগে থেকেই গুছিয়ে নিতে চান ভ্রমণকারীরা। বুকিংয়ে যত সুবিধা পাওয়া যায়, ভ্রমণও তত আনন্দময় ও নির্ভার হয়। ঠিক এই জায়গাতেই সহযোগিতা করে গোযায়ানের মতো প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই নিজেদের পছন্দমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এক দিনের ছুটি হোক বা লম্বা ছুটি। ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা করার আগেই ভ্রমণকারীরা তাদের অ্যাপ থেকে জেনে নিতে পারেন ট্রাভেল নিয়ে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে।

ঘরে বসেই এখন ট্রাভেলের এসব সুবিধা উপভোগের সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ। ফলে ভ্রমণের আগ্রহ বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ছুটি পেলেই পরিবার নিয়ে শ্রীমঙ্গলের কোনো রিসোর্টে বা কক্সবাজারের সমুদ্রের পাড়ে যাওয়া এখন অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণের আগ্রহও বেড়েছে। প্রতিবছর হাজারো মানুষ যাচ্ছেন থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ কিংবা শ্রীলঙ্কায়—নতুন সংস্কৃতি ও নতুন জীবনযাত্রার স্বাদ নিতে।

তবে শুধু নতুন সংস্কৃতি উপভোগ করাই নয়, সেখানকার স্থানীয় মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান দেখানো এখন অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ক্ষতি না করে ভ্রমণ করার উপায় নিয়েও মানুষ ভাবছেন। এর ফলেই ইকো রিসোর্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’। এটি আমাদের এই কথা মনে করিয়ে দেয়, প্রতিটি যাত্রা কেবল ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়; বরং পৃথিবীর জন্যও ইতিবাচক পরিবর্তনের সুযোগ।

তাই ভ্রমণকে দেখি পরিবর্তনের শক্তি হিসেবে। যেমন বদলেছে ভ্রমণ, তেমনি বদলাই আমরা, যাতে আমাদের প্রতিটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে পরিবেশ ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধের উদাহরণ।