Thank you for trying Sticky AMP!!

নগদ লভ্যাংশ ১০ দিনের মধ্যে রাখতে হবে আলাদা ব্যাংক হিসাবে

এখন থেকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান ঘোষিত লভ্যাংশের অবণ্টিত অর্থ ও শেয়ার তিন বছরের বেশি নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে না। ঘোষিত লভ্যাংশের দাবিদার খুঁজে না পেলে তিন বছর পর সেই অর্থ ও শেয়ার স্থানান্তর করতে হবে শেয়ারবাজার উন্নয়নে গঠিত বিশেষ তহবিলে।

আবার তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলে ১০ দিনের মধ্যে তা আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডকে লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত নীতিমালাও তৈরি করতে হবে।

শেয়ারবাজারের কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য গতকাল রোববার লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

Also Read: শেয়ারবাজার যাবে ইউনিয়নেও

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারের সব কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডকে আলাদা লভ্যাংশ বিতরণ নীতিমালা করে তা বার্ষিক প্রতিবেদন ও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ঘোষিত লভ্যাংশ চূড়ান্ত অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক ও বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবে পাঠাতে হবে। মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ দিন।

বিএসইসির আদেশে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপকদের অবণ্টিত বা অদাবিকৃত লভ্যাংশের বিস্তারিত তথ্য নিয়মিত ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সেই তথ্য বার্ষিক প্রতিবেদন ও আর্থিক প্রতিবেদনে আলাদাভাবে প্রকাশ করতে হবে। সেই সঙ্গে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে বছরভিত্তিক অবণ্টিত বা অদাবিকৃত লভ্যাংশের তালিকা।

এখন থেকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠান ঘোষিত লভ্যাংশের অবণ্টিত অর্থ ও শেয়ার তিন বছরের বেশি নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে না।

এদিকে, শেয়ারবাজারের বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের হাতে থাকা অবণ্টিত বা অদাবিকৃত নগদ ও বোনাস লভ্যাংশের সমন্বয়ে বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধান চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বর্তমানে। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের কাছে অবণ্টিত ও অদাবিকৃত যে লভ্যাংশ পড়ে আছে, তার বাজারমূল্য ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ তহবিলটির কার্যক্রম শুরু করা হবে। আপাতত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি) আলাদা একটি ইউনিট গঠন করে তার অধীনে তহবিলটি ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন এ তহবিল গঠিত হলে অবণ্টিত ও অদাবিকৃত লভ্যাংশ সেখানে স্থানান্তর করা হবে।