শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে বিডি ফাইন্যান্সের

বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয় কমেছে বিডি ফাইন্যান্সের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ঘোষণায় জানানো হয়েছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে শূন্য ৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ১৩ পয়সা আয় হয়েছিল।

অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে ৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।

এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে বছরের দুই প্রান্তিকে বিডি ফাইন্যান্সের মুনাফা কমেছে। হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি ’২৫-জুন ’২৫) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ৩৩ পয়সা আয় হয়েছিল।

গত ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ঋণাত্বক ২৯ টাকা ৯২ পয়সা। তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং নগদপ্রবাহ ছিল ঋণাত্মক ১৬ পয়সা।

ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিট সুদ আয় এবং বিনিয়োগ আয়ের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়াই এই ইপিএস হ্রাসের মূল কারণ।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ফাইন্যান্স বা বিডি ফাইন্যান্স গত বছর রেকর্ড পরিমাণ লোকসান করেছে। বছর শেষে কোম্পানিটির লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮৩ কোটি টাকা। যে কারণে ২০২৪ সালের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দেয়নি।

২০২৩ সালে বিডি ফাইন্যান্সের লোকসান হয়েছিল প্রায় ১০৪ কোটি টাকা; গত বছর যা সাড়ে সাত গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮৩ কোটি টাকা। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর এটিই কোম্পানিটির সবচেয়ে বড় লোকসানের রেকর্ড। আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম ৯ মাস জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরে বিডি ফাইন্যান্সের লোকসান হয়েছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। বছর শেষে তা একলাফে ৭৮৩ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। তাতে বছর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) দাঁড়ায় ৪১ টাকা ৬১ পয়সা। ২০২৩ সালে লোকসান হয়েছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা।