Thank you for trying Sticky AMP!!

জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে: ঢাকা চেম্বার

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ গত বুধবার বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তাসহ আট চুক্তি ও সহযোগিতা স্মারক সই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর টোকিও সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-জাপান বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘সমন্বিত অংশীদারত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ উন্নীত হলো।

এমন তথ্য উল্লেখ করে জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মো. সামীর সাত্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছেন ডিসিসিআই সভাপতি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য জাপান ১১তম বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং সপ্তম বৃহত্তম আমদানির উৎস। ০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৭৯ কোটি ডলার। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বিবেচনায় জাপান ১২তম অবস্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে জাপানের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ৪৫ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের বিনিয়োগ করেছেন।

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীদের ক্রমাগত বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মনোভাবই দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি আরও বলেন, জাপান–বাংলাদেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষরকে ত্বরান্বিত করবে, যা কিনা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর জাপানের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা হারানোর বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। তা ছাড়া নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্ভাবনাময় জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মাইলস্টোন উদ্যোগ বলা যায়।